প্রফেসর এ. কে. এম সিরাজুল হক লিয়াকত আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন গুণী শিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার এক নিবেদিতপ্রাণ রূপকার। শিক্ষা উন্নয়ন, প্রযুক্তি সংযোজন ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক এবং মাতা শিক্ষানুরাগী গৃহিণী। শৈশব থেকেই অধ্যয়ননিষ্ঠ ও নেতৃত্বগুণে তিনি ছিলেন সকলের প্রিয়। বিদ্যালয় ও কলেজ জীবনে সর্বদা মেধার স্বাক্ষর রেখে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। প্রথমে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের পর ক্রমান্বয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং পরবর্তীতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। শিক্ষকতা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রফেসর এ. কে. এম সিরাজুল হক শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে বিশ্বাসী। তাঁর নেতৃত্বে লিয়াকত আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এ স্মার্ট ক্লাসরুম, সিসিটিভি মনিটরিং, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিজিটাল একাডেমিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়। তাঁর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক দক্ষতা উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি একজন সমাজসচেতন ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করাই তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সুখী পরিবারে আবদ্ধ। সহধর্মিণী একজন শিক্ষানুরাগী, এবং তাঁদের সন্তানরাও সুশিক্ষা ও মানবিক গুণে গড়ে উঠছে।
প্রফেসর এ. কে. এম সিরাজুল হক-এর স্বপ্ন লিয়াকত আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ-কে একটি আধুনিক, দূর্ণীতিমুক্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান, চরিত্র ও সৃজনশীলতায় হবে অনন্য।